আজ সোমবার, ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এমপিওভুক্ত হবে তবে শর্তসাপেক্ষে ,অর্থমন্ত্রী

এমপিওভুক্ত হবে তবে শর্তসাপেক্ষে ,অর্থমন্ত্রীশর্তসাপেক্ষে

সংবাদচর্চা ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এমপিও খাতে নীতিমালা প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিমালা করেনি। আমি প্রস্তাব করেছি, তা গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

বর্তমান শিক্ষানীতির খসড়া তার করা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা সংশোধন করে পরবর্তীতে চূড়ান্ত করেছে।’

মুহিত আরও বলেন, ‘এভাবে তো শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না। এ খাতে আমূল সংস্কার করতে হবে। সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়া যাবে না। যারা শর্ত পূরণ করবে তাদেরকেই এ সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানান মুহিত।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগে সংস্কার হবে। তারপর এমপিও দেওয়া হবে।’

সারাদেশে পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এমপিওভুক্তির বাইরে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি বেতনের অংশ বা ‘মান্থলি পে অর্ডার’ সুবিধা পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন অান্দোলন চালিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি পূরণের আশ্বাসে সম্প্রতি বঞ্চিত শিক্ষকরা অনশন প্রত্যাহার করেন।

এমপিও দেওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের শর্ত দেওয়া হতে পারে—এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক আছে কি-না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো কেমন, পাঠদানে প্রয়োজনীয় উপকরণ আছে কি-না—এসব কিছু দেখে-শুনে নতুন করে এমপিও করা হবে।’

এ প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মুহিত বলেন, ‘মাস্টারকে বেতন দেওয়া হচ্ছে। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ নেই। আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে নামকাওয়াস্তে—বাস্তবে অবকাঠামো বলতে কিছু নেই।’

কবে সংস্কার শুরু হতে পারে—এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন বলতে পারছি না। তবে শিগগিরই অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

অর্থমন্ত্রী মনে করেন, ‘শিক্ষকরা তো দাবি করতেই পারেন। কিন্তু তাদের সব দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়। কারণ সকল দাবি পূরণ করার মতো সরকারের সার্মথ্য নেই।’

তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘আমাদের সরকার তো জাতীয়করণ করেছে এবং তা ক্রমান্বয়ে করা হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে।’